সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার, তিনি আমাদেরকে ইসলামের প্রতি দাওয়াত, এর প্রচার-প্রসার এবং উম্মাহর সামনে ইসলামের সঠিক শিক্ষা তুলে ধরার জন্য এই বরকতময় মজলিসে একত্র করেছেন। সম্মানিত রাষ্ট্রপতি এবং সম্মেলনের আয়োজকদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি;
আল্লাহ যেন তাদের এই আয়োজনকে কল্যাণকর বানিয়ে দেন। সম্মানিত হাজিরীন! ইতিমধ্যে আমরা ফিলিস্তিনে ইহুদীদের জুলুম-নির্যাতন ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ বিষয়ে অনেক কিছু শুনেছি, অনেক কষ্টের কথা জেনেছি। আজ আমি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু কথা বলতে চাই এবং নিজেদের সম্পর্কে একটি কঠিন সত্য তুলে ধরতে চাই। আমরা যদি কুরআন কারীমের প্রতি দৃষ্টি দিই, তাহলে আমরা দেখি,
আল্লাহ তাআলা সেখানে ইহুদীদের চিত্র তুলে ধরেছেন এভাবে– তাদের ওপর লাঞ্ছনা ও দুর্দশা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। [দ্র. সূরা বাকারা (২) : ৬১] এবং তারা আল্লাহর ক্রোধে নিপতিত হয়েছে। [দ্র. সূরা ফাতিহা (১) : ৭] কিন্তু কী আশ্চর্যের বিষয়, যাদের ওপর লাঞ্ছনা ও দুর্দশা আরোপ করা হয়েছে, তারা কীভাবে গোটা বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করতে পারে, এমনকি অপরাপর কাফের শক্তিকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? আমি নির্দিষ্ট করে কোনো দেশ বা জাতির নাম বলতে চাই না। আমি বলব না,
আমেরিকা বা ইংল্যান্ডকে ইহুদীরা নিয়ন্ত্রণ করছে, আমি বলব, কাফের গোষ্ঠীকে ইহুদীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। এভাবে বলছি, কারণ লড়াই চলছে দুই শিবিরের মাঝে– মুসলিম আর কাফের। ভূখণ্ডভিত্তিক জাতীয়তার ভিত্তিতে কথা বললে মুসলিমদের স্বতন্ত্র পরিচয় হারিয়ে যায়। যেমন কেউ বলল, আমি সিরীয় আর অমুক লেবানিজ বা আমি জর্ডানী আর সে ফিলিস্তিনী, তখন মুসলিম পরিচয় হারিয়ে যায়। বলছিলাম, ক্ষুদ্র ইহুদী গোষ্ঠী কাফের শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই পশ্চিমা কিছু দেশ চাইলেও
গাজার যুদ্ধ থামাতে পারছে না। এই নিষ্ঠুর জালেমদের বিরুদ্ধে আমরা কেবল অভিযোগ করেই ক্ষান্ত থাকি, কিন্তু আমাদের দুর্দশার মূল কারণ নিয়ে আমরা ভাবতে চাই না– কেন আমরা জুলুমের শিকার? কেন আমরা প্রতিকার করতে পারছি না? উত্তর স্পষ্ট। এই পরিণতির জন্য আমরাই দায়ী। আমার সম্মানিত ভাই ড. মুহিউদ্দিন একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, আজ মুসলিম বিশ্ব পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন, পরস্পরের প্রতি বিমুখ, বৈরী ও বিভক্ত। আমাদের প্রকৃত ব্যাধি আমাদের মধ্যেই নিহিত।
আমি দুটি বক্তব্য তুলে ধরছি– প্রথমটি ইমাম আহমাদ রাহিমাহুল্লাহ ‘আলওয়ারা’ (الورع) কিতাবে বর্ণনা করেছেন। এই ছোট কলেবরের কিতাবে তিনি সালাফের মূল্যবান কিছু উক্তি ও ঘটনা সংকলন করেছেন। তিনি ইমাম সুফিয়ান সাওরী রাহিমাহুল্লাহর একটি কথা উল্লেখ করেছেন– সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার, তিনি আমাদেরকে ইসলামের প্রতি দাওয়াত, এর প্রচার-প্রসার এবং উম্মাহর সামনে ইসলামের সঠিক শিক্ষা তুলে ধরার জন্য এই বরকতময় মজলিসে একত্র করেছেন। সম্মানিত রাষ্ট্রপতি এবং সম্মেলনের আয়োজকদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি; আল্লাহ যেন তাদের
এই আয়োজনকে কল্যাণকর বানিয়ে দেন। সম্মানিত হাজিরীন! ইতিমধ্যে আমরা ফিলিস্তিনে ইহুদীদের জুলুম-নির্যাতন ও নির্মম হত্যাযজ্ঞ বিষয়ে অনেক কিছু শুনেছি, অনেক কষ্টের কথা জেনেছি। আজ আমি ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কিছু কথা বলতে চাই এবং নিজেদের সম্পর্কে একটি কঠিন সত্য তুলে ধরতে চাই। আমরা যদি কুরআন কারীমের প্রতি দৃষ্টি দিই, তাহলে আমরা দেখি, আল্লাহ তাআলা সেখানে ইহুদীদের চিত্র তুলে ধরেছেন এভাবে– তাদের ওপর লাঞ্ছনা ও দুর্দশা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। [দ্র. সূরা
বাকারা (২) : ৬১] এবং তারা আল্লাহর ক্রোধে নিপতিত হয়েছে। [দ্র. সূরা ফাতিহা (১) : ৭] কিন্তু কী আশ্চর্যের বিষয়, যাদের ওপর লাঞ্ছনা ও দুর্দশা আরোপ করা হয়েছে, তারা কীভাবে গোটা বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার করতে পারে, এমনকি অপরাপর কাফের শক্তিকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? আমি নির্দিষ্ট করে কোনো দেশ বা জাতির নাম বলতে চাই না। আমি বলব না, আমেরিকা বা ইংল্যান্ডকে ইহুদীরা নিয়ন্ত্রণ করছে,
আমি বলব, কাফের গোষ্ঠীকে ইহুদীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। এভাবে বলছি, কারণ লড়াই চলছে দুই শিবিরের মাঝে– মুসলিম আর কাফের। ভূখণ্ডভিত্তিক জাতীয়তার ভিত্তিতে কথা বললে মুসলিমদের স্বতন্ত্র পরিচয় হারিয়ে যায়। যেমন কেউ বলল, আমি সিরীয় আর অমুক লেবানিজ বা আমি জর্ডানী আর সে ফিলিস্তিনী, তখন মুসলিম পরিচয় হারিয়ে যায়। বলছিলাম, ক্ষুদ্র ইহুদী গোষ্ঠী কাফের শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করছে। তাই পশ্চিমা কিছু দেশ চাইলেও গাজার যুদ্ধ থামাতে পারছে না। এই নিষ্ঠুর জালেমদের বিরুদ্ধে আমরা কেবল অভিযোগ করেই ক্ষান্ত থাকি, কিন্তু আমাদের দুর্দশার মূল কারণ নিয়ে আমরা ভাবতে চাই না– কেন আমরা জুলুমের শিকার? কেন
আমরা প্রতিকার করতে পারছি না? উত্তর স্পষ্ট। এই পরিণতির জন্য আমরাই দায়ী। আমার সম্মানিত ভাই ড. মুহিউদ্দিন একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন, আজ মুসলিম বিশ্ব পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন, পরস্পরের প্রতি বিমুখ, বৈরী ও বিভক্ত। আমাদের প্রকৃত ব্যাধি আমাদের মধ্যেই নিহিত। আমি দুটি বক্তব্য তুলে ধরছি–
প্রথমটি ইমাম আহমাদ রাহিমাহুল্লাহ ‘আলওয়ারা’ (الورع) কিতাবে বর্ণনা করেছেন। এই ছোট কলেবরের কিতাবে তিনি সালাফের মূল্যবান কিছু উক্তি ও ঘটনা সংকলন করেছেন। তিনি ইমাম সুফিয়ান সাওরী রাহিমাহুল্লাহর একটি কথা উল্লেখ করেছেন–